পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাজ সেবার নামে বেআইনি ভাবে গ্রামের সাধারণ ভোটারদের জিম্মি করে লক্ষলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের রাখাতলার মেম্বার গৌরাঙ্গ মন্ডলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত চার বছর ধরে সুকৌশলে রুদ্রপুর, রাখাতলা এলাকায় সাধারণ মানুষকে বি জি এফ কার্ড সহ বয়স্ক ভাতা, সরকারী ঘর নির্মাণ, মৎস্য ভাতা ও গ্রাম পুলিশ চাকুরী দেওয়ার নাম করে গৌরাঙ্গ মেম্বর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত চার বছর ধরে চরম অনিয়ম করে দারুণ বিতর্কিত। গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে ৫নং ওয়ার্ডের রুদ্রপুর, রাখাতলা ও জামিরতলা গ্রামের মধ্যে সমাজ সেবার নামে এক ধরনের প্রহসনের রাজনীতি শুরু করায় চরম নিন্দিত গৌরাঙ্গ মেম্বর।
গত কাল সরেজমিনে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গৌরাঙ্গ মন্ডলের নানান দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করেন। প্রচন্ড খরতাপ উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন গণ মাধ্যম কর্মীরা স্ব শরীরে ভুক্তভোগীদের দুয়ারে দুয়ারে যান। এসময়ে হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। অনুসন্ধানে স্থানীয় মেম্বার ত্রাণের চাল খুরচা বিক্রি করেন। হোগলা বেতকার বাসিন্দা অমিত বড়াল চাল ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন মিডিয়ার সামনে। পাশাপাশি বাটনাতলার দোকানদার দুলাল মোল্লার কাছে চাল বিক্রি করতে আসে স্থানীয় মেম্বার । প্রতিবাদী দোকানদার চাল কিনতে অস্বীকার করে। আর এ কারণে গৌরাঙ্গ মেম্বর দারুণ ক্ষুব্ধ দুলাল মোল্লার উপর। অপর দিকে গত ২৫ মার্চ হতে কোন রকম সরকারি সাহায্য সহযোগিতা দিচ্ছে না বলে দুলাল মোল্লার জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। এদিকে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে আরও বেশ কিছু চমৎকার চমৎকার তথ্য বের হয়ে আসে। দুর্নীতির বাসা বেধেছে স্থানীয় মেম্বার গৌরাঙ্গের কাজে কর্মের মধ্যে। সর্বশেষ চরম অনিয়ম ও দূর্নীতি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব তহবিলের ২৫০০ টাকা প্রধান করে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য। অথচ প্রধানমন্ত্রীর মহৎ কাজকে কুলশীত করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা হয়েছে চরম বিতর্কিত। আর বাদ যায়নি গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার গৌরাঙ্গ মন্ডল সহ একই ইউনিয়নের বহ জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় মেম্বার সম্পুর্ন মনগড়া ভাবে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী সরকারের ২৫০০ টাকার লিষ্ট তৈরি সহ টাকা প্রদান করেন। গৌরাঙ্গ মন্ডলের খেয়াল খুশি মত লিষ্টের তালিকা পরিষদের বোর্ডে টানানো হয়নি। আর এনিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও রয়েছে চরম বিতর্কিত। প্রকাশ্যে কোন রকম তালিকা টানানো হয়নি। এদিকে রাখাতলা ও রুদ্রপুর গ্রামের মৃত ব্যাক্তির নাম দিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনাও সরেজমিনে বের হয়ে আসে জনসম্মুখে। এলাকার শুধাংসু মজুমদারের টাকা উত্তোলন করে মনোহার। আবার চন্দন বড়াল থাকে ভারতে কিন্তু টাকা উঠায় বেআইনী ভাবে। মানিক মোল্লা সহ ও জব্বার ফকির মৃত ব্যাক্তির নাম ব্যাবহার করে বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করে। অবশ্য বেআইনী কাজ কর্মের প্রধান ভিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গৌরাঙ্গ মেম্বর। তবে দালাল হলেন এলাকার কঠিন বিতর্কিত মৃত আদম আলীর ছেলে মোঃ কবির। গণ মাধ্যম কর্মীদের সরেজমিনে আরও বহু তথ্য বের হয়ে আসছে স্বর্গীয় ব্রজেস্বরের ছেলে রতন সিকদারের অভিযোগ পাওয়ার পর বহু থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে। রতনের মত বহ লোকজন গত ০৭/০৬/২০২০ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। গৌরাঙ্গ মেম্বর ঘর দেওয়ার নাম করে রতনের মত বহু অসহায় মানুষগুলোর কাছ থেকে ১০,০০০/,৮০০০/ সহ বহু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বয়স্ক ভাতার নামেও গৌরাঙ্গ মন্ডলের বহ তেলেসমাতি রয়েছে। তবে গৌরাঙ্গ মন্ডলের দুর্নীতিকে সরাসরি সাপোর্ট দিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান জনগণের মধ্যে বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বেশী বিতর্কিত হয়েছে ২৫০০ টাকার নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের বোর্ডে না টানিয়ে। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে লিষ্ট টাঙ্গালে দুর্নীতির গোমর ফাঁস হয়ে যাবে বিদায় তালিকা টানানো হয়নি। তবে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয় জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের। মিডিয়ার লোকজনদের সঙ্গে কথা বললেও কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়নি। কাজের ব্যাস্ততার কথা বলে স্বল্প সময় দেন। অপর দিকে গৌরাঙ্গ মেম্বর মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। বরং কোন রকম আমতা আমতা করে বলেন এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র আমার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তথ্য মতে, এলাকার বেশীরভাগ লোকজন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করি গৌরাঙ্গ মন্ডলের বিরুদ্ধে। আপনারা জাতির বিবেক তাই আপনারা সাধারণ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সত্য ঘটনা তুলে ধরুন জাতীত কাছে।
Leave a Reply